মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫০ পূর্বাহ্ন
Headline :
কোনাবাড়ি মেট্রো থানা জিয়া পরিষদের মত বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উদ্যোগেই এই দেশ থেকে শ্রমশক্তি বিদেশে রপ্তানি হয় যুক্তরাজ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল “ময়মনসিংহ সোসাইটি যুক্তরাজ্য” বন্ধুত্ব না কৌশল? বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের জটিল বাস্তবতা সাম্প্রতিক দুর্ঘটনা ও রাজনৈতিক প্রভাব: একটি বিশ্লেষণ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪০ টি ইউনিট নগর পরিকল্পনায় শিল্প স্থাপন ও শ্রমিক নিরাপত্তা: একটি বাস্তবধর্মী পর্যালোচনা শিশুশ্রম শৈশব কেড়ে নেয় এবং স্থায়ী দারিদ্র্যের চক্রে আটকে রাখে গাজীপুরের কোনাবাড়িতে আসন্ন ত্রয়দশঃ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নেতা কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা মানব জীবনে মানসিক বিকাশের অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে ইসলামের পাশাপাশি সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা
Notice :
স্বাগতম আমাদের আইপি টিভি “TV36” সত্য প্রকাশে আপোষহীন……. সারা দেশ ব্যাপী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে, হটলাইন – ০১৬১৭ – ৮৯৭০৬৯

গত ১৭ বছরে পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ

১) গত ১৭ বছরে (প্রায়) বাংলাদেশ থেকে কত টাকা বা কত কোটি ডলার বিদেশে মুদ্রা পাচার বা মানি লন্ডারিং হয়েছে?

Transparency International Bangladesh (TIB) জানিয়েছে যে, সুগঠিত হিসাব মতে, প্রতি বছরে প্রায় $12–15 billion অর্থ পাচার হচ্ছে ।

অন্য এক White Paper থেকে জানা গেছে যে ২০০৯–২০২৩ সময়কালে মোট $234 billion পাচার হয়েছে, যা প্রতি বছরে গড়ে ~$16 billion বটে ।

অর্থাৎ ১৫–১৭ বছরের গড় জরিপ অনুযায়ী, দেশ থেকে প্রতি বছর $12–16 billion পাচার হয়েছে।
সুতরাং, ১৭ বছর ধরে গড় হিসাবে প্রতি বছর $14 billion ধরে ধরা যায়, তাহলে মোট হবে:

$14 billion × 17 ≈ $238 billion

বাংলাদেশী টাকায় (১ ডল.= ১০০ BDT ধরে):

≈ ৳23,800 billion = ৳2.38 লাখ কোটি টাকা।

২) যদি এই টাকা দেশের রিজার্ভে (বিদেশি মুদ্রায়) থাকতো, তাহলে বাংলাদেশ আজ এশিয়ার কোন অবস্থানে থাকত অর্থনীতির দিক থেকে?

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী:
বাংলাদেশের মোট জাতীয় আয়ের (GDP) পরিমাণ ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় $450 billion (নমিনাল GDP) ।
এশিয়ার অর্থনীতির চালক দেশগুলোর র‍্যাংকিং (নমিনাল GDP অনুসারে) হলো:
1. China (~$18 ট্রিলিয়ন)
2. Japan (~$4.2–4.3 ট্রিলিয়ন)
3. India (~$3.7–3.9 ট্রিলিয়ন)
4. South Korea (~$1.7–1.9 ট্রিলিয়ন)
5. Indonesia (~$1.4–1.5 ট্রিলিয়ন)
6. Turkey (~$1.3–1.4 ট্রিলিয়ন)
7. Saudi Arabia (~$1.1 ট্রিলিয়ন)
8. Taiwan (~$0.8 ট্রিলিয়ন)
9. Thailand (~$0.5–0.55 ট্রিলিয়ন)
10. UAE (~$0.5 טרিলিয়ন)
11. Singapore (~$0.5 טרिलিয়ন)
12. Bangladesh (~$0.45 ট্রিলিয়ন) — সাধারণত এশিয়ার ১৩তম অর্থনীতি ।
তখন যদি $238 billion রিজার্ভে যুক্ত হতো…
বর্তমান GDP: ~$450 billion
রিজার্ভে যদি $238 billion যোগ হতো (সেটিও অর্থনীতির পরিমাণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়), তাহলে মোট GDP দাঁড়াত প্রায়:
$450 + $238 = $688 billion
এ অবস্থায় Bangladesh GDP অনুযায়ী এশিয়ার তালিকায় উঠে আসতো প্রায় ৯ম বা ১০ম স্থান, সম্ভবত টুর্কি, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে ।

সংক্ষিপ্ত উত্তর:
বিষয় তথ্য
পাচারের পরিমান (উত্তর) গত ~১৭ বছরে গড়ে প্রায় $14 billion/বছর, মোট ~$238 billion (≈ ৳2.38 লাখ কোটি টাকা)।
মানি লন্ডারিংয়ের উৎস কি হলে? রাজস্ব, রিজার্ভ—যেকোনো হতে পারে।
বর্তমান GDP অবস্থান ~$450 billion → এশিয়ার 13th প্রধান অর্থনীতি।
যদি $238b রিজার্ভে থাকতো GDP হয়তো ~$688b—উঠে যেত 9‑10ম, সৌদি, সিঙ্গাপুর ছাড়িয়ে।

নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, $238 billion রিজার্ভ হিসেবে থাকলে বাংলাদেশ GDP ভিত্তিতে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয় অঞ্চলে আরও উচ্চ অবস্থানে পৌঁছাতে পারতো, সম্ভবত ৯ম বা আরও উপরে।।১) মার্কিন ডলারের সমতা ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মূল্য
▪️ ডলার ভিত্তিক মূল্যমান বোঝা:
GDP (Nominal) ও Reserves আলাদা জিনিস:
GDP: একটা দেশের মোট অর্থনৈতিক উৎপাদন (বার্ষিক) — এটি আর্থিক সক্ষমতা বোঝায়।
Reserves: মূলত দেশের হাতে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা (বিশেষ করে মার্কিন ডলার, ইউরো ইত্যাদি) — এটি আর্থিক স্থিতিশীলতা ও বাফার বোঝায়।
▪️ বাংলাদেশের বর্তমান রিজার্ভ কত?

২০২৫ সালের মাঝামাঝি (Q2/Q3) পর্যন্ত:

Gross Reserves: ~ $19–21 billion

Net Reserves (usable): ~ $13–15 billion মাত্র
সূত্র: IMF ও Bangladesh Bank

▪️ যদি পাচার হওয়া $238 billion রিজার্ভে থাকতো?

তাহলে বাংলাদেশ হতো:

Asia-র টপ ৩-৫ রিজার্ভধারী দেশ।

এমনকি India ($600b) বা South Korea ($420b)-এর কাছাকাছি চলে আসতো।

বর্তমান বাংলাদেশের রিজার্ভ শুধু ৩–৪ মাসের আমদানি কভার করে। যদি $238 billion থাকতো, তাহলে সেটা ৩–৪ বছরের আমদানি কভার করতে পারতো!

মানে কী?

এই টাকা রিজার্ভে থাকলে:

টাকার মান স্থিতিশীল হতো (USD/BDT হয়তো 85–90 থাকতো)।
বিদেশি বিনিয়োগ বাড়তো।
দেউলিয়া হওয়ার ভয় থাকতো না।
IMF, WB, ADB-র কাছে ঋণ চাওয়ার প্রয়োজন হতো না।
২) রিজার্ভের তুলনামূলক গুরুত্ব
দেশ রিজার্ভ (USD Billion) মন্তব্য

China $3,100+ বিশ্বের সর্বোচ্চ
India $600+ আমদানি কভার: 10–12 মাস
Russia $580+ যুদ্ধকালীনও ভালো
Thailand ~$220 পর্যটননির্ভর
Bangladesh (বর্তমান) ~$19 (Net) মাত্র 3–4 মাসের কভার
Bangladesh (যদি $238b থাকত) ~$250+ থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ার চেয়েও বেশি!
তাহলে:
এই পরিমাণ রিজার্ভ থাকলে বাংলাদেশ বিদেশি মুদ্রার দিক দিয়ে G20 দেশগুলোর আশেপাশে থাকতো।

আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং বেড়ে যেতো (Fitch, Moody’s) → বিনিয়োগ আসতো।
৩) এশিয়ায় বাংলাদেশের সম্ভাব্য GDP র‍্যাংকিং
বর্তমান অনুযায়ী (Nominal GDP):
অবস্থান দেশ GDP (USD Trillion)
1 China 18+
2 Japan 4.2
3 India 3.9
4 South Korea 1.8
5 Indonesia 1.5
6 Turkey 1.3
7 Saudi Arabia 1.1
8 Taiwan 0.9
9 Thailand 0.56
10 UAE 0.5
11 Singapore 0.5
12 Bangladesh 0.45
13 Malaysia 0.42

▪️ যদি পাচার হওয়া টাকা দিয়ে অর্থনীতি চালিত হতো (≈ $238b যোগ):

সম্ভাব্য GDP:

$450b (বর্তমান) + $238b = $688b

নতুন র‍্যাংকিং:

Bangladesh উঠে যেত 9ম অবস্থানে (Thailand, UAE, Singapore-কে ছাড়িয়ে)।

আর অর্থনৈতিক সক্ষমতার বিচারে Asia-Pacific G20 Discussion টেবিলেও জায়গা পেতে পারতো।

শেষ কথা (সংক্ষেপে):

প্রশ্ন বিশ্লেষণ

$238b পাচার না হয়ে রিজার্ভে থাকলে কী হতো? বাংলাদেশ হতো বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ রিজার্ভধারী দেশ
টাকার মান? 15–20% বেশি শক্তিশালী হতো (BDT vs USD)
GDP অবস্থান? Asia-তে 13 → 9th হয়ে যেত
ব্যাংক ঋণ, আমদানি সংকট, IMF শর্তাবলী? অনেকটাই কমে যেতো, বিদেশি ঋণের প্রয়োজন হতো না
বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান? ব্যাপক বৃদ্ধি পেত।। দেশের উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি হলো দেশপ্রেম এবং সদিচ্ছা। সরকার, ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষ—সবার মধ্যে যদি দেশভক্তি থাকে এবং সবাই মিলেমিশে কাজ করে, তাহলে পাচার রোধ সম্ভব, শিল্প কলকারখানা গড়ে তোলা সম্ভব, আর সেই সঙ্গে বেকারত্ব কমানো সম্ভব।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট:

দেশপ্রেম থাকলে লোকজন বিদেশে টাকা পাচার করার বদলে দেশেই বিনিয়োগ করবে।

সরকারের জবাবদিহিতা ও কঠোর আইন প্রয়োগ থাকলে পাচার কমে যাবে।

শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হলে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে, বেকারত্ব কমবে।

জনগণকে শিক্ষিত ও দক্ষ করে তোলা হলে দেশের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়বে।

সুতরাং, অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূলমন্ত্র হলো দেশপ্রেম + সঠিক নেতৃত্ব + জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ।

সাবেরা শরমিন হক –

(পরিবেশবিদ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, সমাজ ও সংস্কৃতি কর্মী, ব্যবসায়ী।) পরিবেশ বিজ্ঞান, নগর পরিকল্পনা, উন্নয়ন অধ্যয়ন, এমবিএ, আন্তর্জাতিক সম্পর্কে স্নাতকোত্তর,পিএইচডি ফেলোশিপ বিশ্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page

বিভাগীয় নিউজ